নগরীতে প্রতিদিন ১৫ হাজার টাকা চাঁদা দিয়ে চলে টেম্পো

sharif-16-no-Ward-Pic--768x523.jpg‘বড় ভাই’কে প্রতিদিন কমপক্ষে ১৫ হাজার টাকা চাঁদা দিতে হয় টেম্পো চালকদের। চাঁদা না দিলে রাস্তায় নামতে পারে না চালকরা। বাধা শিকার হতে হয়। নগরীর চকবাজার থেকে ষোলশহর ২নং গেট রুটে প্রতিদিন চলাচলকারী টেম্পো চালকদের প্রতিদিনের চিত্র এটি।

এ রুটে প্রতিদিন ১৩০টি টেম্পো চলাচল করে। প্রতিটি টেম্পোকে প্রতিদিন ৭০ টাকা ছাড়াও মাসে ১১০০ টাকা করে চাঁদা দিতে হয়। এসব চাঁদা যায় চকবাজার এলাকার এক ‘বড় ভাই’য়ের কাছে। তাতে প্রতিদিন ৯১০০ টাকা করে মাসে দুই লাখ ৭৩ হাজার টাকা এবং এককালীন এক লাখ ৪৩ হাজার টাকাসহ মোট ৪ লাখ ১৬ হাজার টাকা চাঁদা দিতে হয়। নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন টেম্পোচালক দৈনিক পূর্বকোণকে এ তথ্য জানান। তারা অভিযোগ করে বলেন, চাঁদা ছাড়া এই রুটে গাড়ি চালানো যায় না। শাসক দল সমর্থিত বড় ভাইয়ের লোকজন বাধা দেয়। তাতে নিরুপায় হয়ে আমরা চাঁদা দিতে বাধ্য হই।

চালকরা বলেন, শুধু চকবাজারে নয়, প্রবর্তক মোড়ে আরেক বড় ভাইকেও চাঁদা দিতে হয়। না হয় পদে পদে বাধার শিকার হতে হয়।

নগরীর চকবাজার থেকে ষোলশহর ২নং গেট রুটে টেম্পো চলাচল দীর্ঘদিনের। এ রুটে প্রতিদিন কয়েক হাজার যাত্রী যাতায়াত করে। যাত্রীদের বেশিরভাগ ছাত্রছাত্রী। এসব ছাত্রছাত্রীদের টাকা পরোক্ষভাবে যায় চাঁদাবাজ বড় ভাইয়ের কাছে। শুধু চকবাজার–ষোলশহর ২নং গেট রুটে নয়, চাঁদা দিতে হয় চকবাজার–মুরাদপুর রুটের টেম্পুগুলোকেও। একইভাবে চাঁদা দিয়ে টেম্পোগুলো এই রুটে চলাচল করে। এই রুটে টেম্পোর সংখ্যাও বেশি। প্রায় ২০০টি। এতে অতীষ্ঠ হয়ে ওঠেছেন চালকরা।

চকবাজার–মুরাদপুর রুটের কয়েকজন টেম্পোচালক নাম প্রকাশ না করার শর্তে দৈনিক পূর্বকোণকে অভিযোগ করে বলেন, চাঁদাবাজ ওই বড় ভাইকে চাঁদা না দিয়ে কেউ টেম্পো চালাতে পেরেছে এমন কোন নজির নেই। সবাইকে চাঁদা দিতে হয়। জনৈক টেন্ডল প্রতিদিন চাঁদা তুলে বড় ভাইয়ের হাতে তুলে দেয়। এর কোন ব্যত্যয় হলে চালকের ওপর নেমে আসে নির্যাতনের খড়গ। বড় ভাইয়ের সাঙ্গপাঙ্গরা এসে গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দেয়।

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ওয়ার্ড ১৬ নং চকবাজার। এ ওয়ার্ডের গুরুত্বপূর্ণ এলাকা অলি খাঁ মসজিদ মোড়। এ মোড়ে দুইটি অস্থায়ী টেম্পো স্টেশনের কারণে যানজটে অসহনীয় দুর্ভোগে ভোগেন যাত্রীরা।

Comment here