ফজরের নামাজ ও ফারজানা

ফজরের নামাজ ও ফারজানা

ফজরের নামাজের কালে আনুশেহ থাকে ঘুমের ঘোরে,
দেহঘডির এলার্মে জেগে ওটা ফারজানা থাকে ফুরফুরে।
মুহুর্ত একটাই, দুই তন-মন কেন তবে দুইভাবে পাই,
কার ইচ্ছায় এমন হয় তোমাকে শুধাই?

ফজর ! ফরজ ! ফরসা !
ফারজানা স্নিগ্ধা-সহসা !
আনুশেহ কিন্তু গোসসা,
তুমি কেন চাও তপস্যা !

ফজরের রুপ বর্ণন তাবৎ কবির মত আমারও অসাধ্য,
আমি বর্ণন করবো ফারজানার রুপ- সেটাতে আমি বাধ্য।
ফজরের রুপ ও ফারজানার রুপ যদি কখনো মিলে যায়,
ইথারীয় ফারজানার জন্য  সেটা কবি কল্পনা মাত্র -তুমি দোষ দিওনা তায়।

ফারজানা রাতের আঁধার ছিঁড়ে-ফুঁড়ে ঠিকরানো প্রথম পবিত্র আলোর রেখা,
আনুশেহ দিনের  সবটুকুন আলো অন্তর্হিত’পর প্রথম জ্বালানো মোমের শিখা।
সেই আলোর রেখা ও সেই মোমের শিখার উৎস কি নয় এক ? – সেটা আমার অজানা,
উৎস-অজানা ঔৎসুক্যে তোমাকে জিজ্ঞেস করি- যদিও জানি সেটা করতে তোমার মানা।

ফজরের নামাজ ! আনুশেহর ভব সন্ত-সব,
ফজরের নামাজ ! ফারজানার স্নিগ্ধ অনুভব।
আলোর রেখায়-মোমের শিখায় দুলছে মন,
কবে, কিভাবে হবে বল উৎকর্ষে-উত্তরণ ?

Comment here