স্বরচিত নয় বাবা-মেয়ের যৌথরচিত কবিতা – ‘অবেলায় তুই’

শখের বশে বা খেয়ালের বশে কেউ কেউ কবিতা লিখে যাকে আমরা বলি স্বরচিত কবিতা। স্বরচিত কবিতা পাঠের আসর নামে অনুষ্ঠানও হয় মাঝে মাঝে। ফেসবুকের যুগে এই স্বরচিত কবিতা চর্চা যেন আরো সহজতর হয়ে গেছে, যখন ইচ্ছে লিখে আপলোড করা যাচ্ছে, তাই এখন বলা যায় স্বরচিত কবিতা চর্চার স্বর্ণযুগ চলছে । তবে আজকে যে কবিতাটির সাথে আপনাদের পরিচয় করে দিচ্ছি সেটাকে স্বরচিত নয় বরং বলা যেতে পারে  ‘বাবা-মেয়ের যৌথরচিত কবিতা’ । কবিতার শেষে  পুনশ্চঃ -তে কবি  নিজেই তাঁর বাবার কথা উল্লেখ করেছেন, পড়ুন সাদিয়া আফরিনের পুনশ্চঃ সহ ‘অবেলাই তুই’ কবিতাটি –   বৈরী বৃষ্টিতে বিপর্যস্থ নিবিড় বিজন, বকুল বনে এ কোন বিহঙ্গ তুই? আমার ক্লান্ত দুচোখে নিঃসীম নীলিমার স্বপ্ন নীলাঞ্জন? বিপুল বিভ্রান্তি যেন এক ; হলুূদ বর্ণের ফুল, ব্যথাহত, ব্যাকুল বসন্তে। অলৌকিক নক্ষত্রের আলো যেন সুবর্ণ প্রত্যাশা। দিবালোকে দীপ্যমান সহসা। অজেয় সময়ের সরনীতে “তুই” শুধু বিমূর্ত প্রতীক প্রশান্তির। অন্ধকার বলয়ে যখন আমি- এক পথভ্রান্ত বিমুগ্ধ আত্না, অন্তর্নীল অন্তর্জ্বালায় উদভ্রান্ত; তখন তুই যেন স্বর্গের পাখি আশার আবীর। আমার বিজন বকুল বনে কিসের প্রত্যাশায়! বৈরী বৃষ্টিতে বাসা বেঁধেছিস তুই- এ অবেলায়! সাদিয়া ২৩.০৪.২০১৮ পুনশ্চঃ এই কবিতার কিছু অংশ আমার বাবার লেখা। হয়তো সে শেষ করতে পারেননি। হয়তো শেষ খুঁজে পাননি। হয়তো তিনি সময় পাননি পুরোটা গুছাতে। তাই আমি নিজ দায়িত্বে আজ তার লেখাকে পূর্ণতা দিলাম। হয়তো তার মতো করে পারিনি। তবু আজ খুব ভালো লাগছে। আরো ভালো লাগতো যদি তিনি এ লেখা টা পড়তেন। আর খুব সংক্ষিপ্তভাবে আমার প্রশংসা করতেন। আমার প্রাপ্তিটুকু অপূর্ণ রয়ে গেলো।