স্বাধীনতার ৪৬ বছর পরও সোনালী ব্যাংকের টাঙ্গাইল শাখায় ‘ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক অব পাকিস্তান’ নামফলকটি পরিবর্তন করা হয়নি। এ নিয়ে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
নামফলকে থাকা তথ্য অনুযায়ী, ১৯৬৮ সালের ১৮ মে ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক অব ইস্ট পাকিস্তানের টাঙ্গাইল শাখাটি উদ্বোধন করেন তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান সরকারের অর্থমন্ত্রী ডক্টর মির্জ্জা নুরুল হুদা।
সোনালী ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, ১৯৭১ সালে দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২ সালে এক অধ্যাদেশ জারি করে ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান, প্রিমিয়ার ব্যাংক এবং ব্যাংক অব বাহাওয়ালপুরকে অধিগ্রহণ করে ‘সোনালী ব্যাংক’ প্রতিষ্ঠিত করে। এরপর ‘ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক অব পাকিস্তান’ বিলুপ্ত হয়ে যায়। স্বাধীনতার ৪৬ বছর পরও টাঙ্গাইল শাখা থেকে নামফলকটি পরিবর্তন বা সরিয়ে ফেলতে পারেনি সোনালী ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।
এ বিষয়ে টাঙ্গাইল জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার আবুল কালাম আজাদ বীর বিক্রম বলেন, ‘স্বাধীনতার ৪৬ বছরেও ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক অব পাকিস্তানের নামফলক থাকে কীভাবে? এই নামফলকটি দ্রুত অপসারণ করা না হলে আমরা আদালতে যাব।’
জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মো. আনিসুর রহমান বলেন, ‘একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে এটা আমি মেনে নিতে পারি না। এটি কি ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক অব পাকিস্তানের টাঙ্গাইল শাখা, নাকি সোনালী ব্যাংক টাঙ্গাইলের প্রধান শাখা?’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সোনালী ব্যাংকের টাঙ্গাইল শাখার উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) মো. মুশাররফ হোসেন বলেন, ‘আমরা এখনই বোর্ড দিয়ে ঢেকে দেব। পরে অফিশিয়াল আদেশ তৈরি করে এটাকে অপসারণ করে ফেলা হবে।’
সোনালী ব্যাংকের পরিচালক মো. নূরুল আলম তালুকদার বলেন, ‘বিষয়টি আমাদের দৃষ্টিগোচরে ছিল না, আমরা ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে বিষয়টি সমাধান করে ফেলব।’